নির্বাচনী পরীক্ষা ২০২৩
জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান
বসুখালী দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা বৃক্ষ রোপন
সুপারিনটেনডেন্ট ও সহকারী শিক্ষক,বসুখালী দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা |
সহকারী শিক্ষক , বসুখালী দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা |
ইবতেদায়ী প্রধান ও সহকারী শিক্ষক , বসুখালী দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা |
সহকারী মৌলভি, বসুখালী দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা |
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
বাংলাদেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় যে ধারাগুলি বিরাজমান সেগুলির মধ্যে মাদরাসা শিক্ষাধারার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ ধারায় ১৫ হাজারের অধিক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে দেড় লক্ষাধিক শিক্ষক শিক্ষাদানের সাথে জড়িত। পরিবর্তনশীল সামাজিক চাহিদা পূরনের লক্ষ্যে মাদরাসা শিক্ষাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী, সাধারণ শিক্ষার মাঝে বিরাজমান ব্যবধান কমিয়ে আনাসহ গুনগতমান উন্নয়ন ও সুষ্ঠুরূপে পরিচালনা, তদারকী, পরিবীক্ষণ ও একাডেমিক পরিদর্শনকার্যক্রম জোরদারকল্পে, সেসাথে শিক্ষানীতি ২০১০ এ ঘোষিত নীতির বাস্তবায়নের নিমিত্ত বিভিন্ন শিক্ষা কমিটি/কমিশনের সুপারিশের আলোকে বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে“বিশেষশাখার” স্থলে সরকারএকটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাকরেছে।
দেশের জনগোষ্ঠির শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ মাদরাসা শিক্ষার সাথে জড়িত। এ বিশাল জনগোষ্ঠিকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে মাদরাসা শিক্ষার প্রতিযোগিতামূলক যথার্থ-মাননিশ্চিত করণে সরকারকর্তৃক (শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারকনং-শিম/শাঃ১৪/বিবিধ-২-৮/২০০৮-১৬৩,তারিখঃ ০১.০৬.২০১৫ মোতাবেক) মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর নামে একটি নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার সরকারি মঞ্জুরী জ্ঞাপন করা হয়েছে । এর ধারাবাহিকতায় মূলত ০১.০৬.২০১৫ খ্রিঃ হতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর-এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ইতোমধ্যে সরকার কর্তৃক {শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারকনং- শিম/শাঃ২৪/বিবিধ-২-৮/২০০৮(অংশ)/২৭৪,তারিখঃ০৯.০৯.২০১৫খ্রিঃ মোতাবেক}মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের জন্য কর্মপরিধি ও নির্ধারণ করা হয়েছে। উক্ত কর্মপরিধির প্রধান প্রধান বিষয়গুলোহলো-
(ক) মাদরাসা শিক্ষা সংক্রান্ত সরকারের নীতি বাস্তবায়ন করা
(খ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মাদরাসা শিক্ষা সংক্রান্ত সকল উপদেশ ও পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া,
(গ) মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহের প্রশাসনিক,আর্থিক ও একাডেমিক কর্মকান্ড তত্বাবধান করা,
(ঘ) বেসরকারি মাদরাসা এমপিও ভুক্তকরণ,বেসরকারি মাদরাসা শিক্ষককর্মচারী এমপিও ভুক্তকরণ,
(ঙ) মাদরাসা সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্প প্রনয়ন ও এর বাস্তবায়ন অগ্রগতি তত্বাবধান
(চ) উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কর্মে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান্ সমুহের সাথে কাজের সমন্বয় করা,
(ছ) সরকার কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা ইত্যাদি।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা
১৭৮০ সালে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারত উপমহাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে আলিয়া ধারার মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার শুভ সূচনা হয়। পর্যায়ক্রমে অবিভক্ত বাংলা, বিহার, আসাম ও ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মাদ্রাসা শিক্ষা সম্প্রসারিত হতে থাকে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও কর্মমুখী করার উদ্যোগ গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠিত হয় এবং ঢাকাস্থ সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ক্যাম্পাসে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৭৮ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা অর্ডিনেন্স জারির মাধ্যমে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়। ফলশ্রুতিতে ১৯৭৯ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপ পরিগ্রহ করে। এরপর হতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড তার কার্যক্রম সাফল্যের সাথে পরিচালনা করে আসছে।[২] ২০০৬ সালের পূর্ব মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ফাযিল ও কামিল মাদরাসাসমূহ নিয়ন্ত্রণ করত। ২০০৬ সাল থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া এবং ২০১৬ সাল থেকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত
প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট
আরো কিছু ওয়েবসাইট
ফেসবুক পেজ
ইউটিউব চ্যানেল
গুগল ম্যাপে মাদ্রাসার ঠিকানা
Calendar
<2020
>